
ভ্রষ্ট মেয়েবেলাঃ দুই বাংলার দুই কন্যার পাচারের কাহিনি
দেহব্যবসায়ের কাজে লাগানোর জন্য নাবালিকাদের পাচারের ব্যবসায়ে সারা পৃথিবী জুড়ে লেনদেন হয় কয়েকশো কোটি ডলার।এই অবৈধ উদ্যোগের একটি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশ।
কলকাতা লাগোয়া একটি এলাকায় থাকত ‘র’। মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে সে বাড়ি ছেড়েছিল। একটি রেলস্টেশনে কয়েক জন লোকের সঙ্গে তার দেখা হয়। তারা ‘র’-কে ভুল বুঝিয়ে শহরের একটি নিষিদ্ধপল্লিতে নিয়ে যায়। মেয়েটির কথায়, ‘‘ওরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছিল।’’ অনেক মেয়েই কিশোরী অবস্থায় পাচার হয়ে যায়, তাদের বাকি জীবন কাটে বিভিন্ন যৌনপল্লিতে। কিন্তু বিক্রি হয়ে যাওয়ার আগেই ‘র’-কে উদ্ধার করা হয়েছিল। তার কথায়, ‘‘আমার কপাল ভাল ছিল।’’ তার ঠাঁই হয়েছিল ‘সংলাপ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিচালিত ‘স্নেহ’ নামে একটি হোমে। পাচারের শিকার হওয়া, যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের জীবন নতুন করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে ‘সংলাপ’। এখন সাবালিকা হয়ে যাওয়া ‘র’ এবং এই রচনায় উল্লিখিত আরও কয়েকটি মেয়ের ছবি ‘স্নেহ’তে থাকার সময় তোলা হয়েছিল।